নগরীতে টহলে থাকবে সেনা-বিজিবি-র‌্যাব-পুলিশ

লকডাউন বাস্তবায়নে জেলার ৭ প্রবেশ পথে বসবে চেকপোস্ট

২০৭

করোনাভাইরাস রোধকল্পে ১ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত সরকার ঘোষিত সপ্তাহব্যাপী লকডাউন কার্যকরে চট্টগ্রাম জেলা ও নগরের ৭টি প্রবেশ পথে বসবে চেকপোস্ট। নগরীতে টহলে থাকবে সেনা-বিজিবি-র‌্যাব-পুলিশ।

লকডাউন কার্যকরের লক্ষ্যে বুধবার (৩০ জুন) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির এক জরুরী সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক, বিজিবি’র পরিচালক আহমদ হাসান জামিল, সিএমপি’র ডিসি (ক্রাইম) জয়নুল আবেদীন, ট্রাফিকের মুহাম্মদ আলী হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাজমুল আহসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) আ স ম জামশেদ খন্দকার, এডিসি (এলএ) মাসুদ কামাল, জেলা কমান্ডার আশরাফ হোসেন সিদ্দিক, সিএমপির এডিসি শেখ সাব্বির হোসেন, র‌্যাব-৭ এর উপ-পরিচালক মেজর মো. মুশফিকুর রহমান, মেজর গোলাম কিবরিয়া খন্দকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবদুল্লাহ-আল-মাসুম, জেলা তথ্য কর্মকর্তা মো. সাঈদ হাসান প্রমুখ।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, সরকার ঘোষিত বিধি-নিষেধ যথাযথভাবে পালন করতে চট্টগ্রামের ৭ প্রবেশ পথ যথাক্রমে-সাতকানিয়ার কেরাণী হাট, ফৌজদারহাট, জোরারগঞ্জ নগরীর অক্সিজেন, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, মইজ্যার টেক ও বায়েজিদ লিংক রোড এলাকায় পুলিশের উদ্যোগে বসবে চেকপোস্ট বসানো হবে। মাঠে থাকছে জেলা প্রশাসনের ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, আনসার ও ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক জেলা প্রশাসনকে সহযোগিতা করবেন। এছাড়াও নগরীর গুরুত্বপূর্ণস্থানে সেনাবাহিনী ও বিজিবি’র সমন্বয়ে টহলে থাকবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। জরুরী প্রয়োজন ব্যতীত কেউ ঘর থেকে বের হলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক বলেন, নগরীর সাতটি প্রবেশমুখে পুলিশের চেকপোস্ট থাকবে। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের ১২ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের ১২টি টিম মাঠে টহলে থাকবে।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বৃহস্পতিবার ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পৃথক টিম সার্কিট হাউস থেকে একযোগে সকাল সাড়ে ১০টায় অভিযান শুরু করবেন। এতে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি, আনসার, র‌্যাব ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক মাঠে থাকবে। জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বাকলিয়া-চকবাজার এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা জান্নাত, খুলশী এলাকায় ইনামুল হাসান, কোতোয়ালী এলাকায় মো. উমর ফারুক, বায়েজিদ এলাকায় জিল্লুর রহমান, পাঁচলাইশ-চান্দগাঁও এলাকায় রেজওয়ানা আফরিন, হালিশহর এলাকায় মাসুদ রানা, বন্দর-ডবলমুরিং এলাকায় নূরজাহান আকতার সাথী, আকবরশাহ-পাহাড়তলী এলাকায় ফাহমিদা আফরোজ ও বায়েজিদ এলাকায় প্লাবন কুমার বিশ্বাস দায়িত্ব পালন করবেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.