আগুনে নিহত আরেক জনের পরিচয় মিলেছে

জেলা প্রশাসনের আর্থিক সহায়তা প্রদান

১২

নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন রিয়াজউদ্দিন বাজারে আগুনে নিহত আরেক জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম ইসমাইল হোসেন ইকবাল (১৮)। তিনি সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া গ্রামের সৈয়দ হোসেনের ছেলে। নিহত অন্য দু’জন হলেন, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার মিজ্জারকিল কুতুবপাড়ার বেঠা মিয়ার ছেলে মো. রিদুয়ান (৪৫) এবং একই উপজেলার পশ্চিম গাড়িয়ান এলাকার শামসুল আলমের ছেলে মো. শাহেদের (১৮)

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাত দেড়টার দিকে রিয়াজউদ্দিন বাজারে মোহাম্মদিয়া প্লাজার ব্রাদার্স টেলিকম নামে একটি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে সেটা পাশের রেজওয়ান কমপ্লেক্সেও ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়। এছাড়া আহত দুই নারী চট্টগ্রাম মেডিকের কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের স্টাফ অফিসার মো. ফাহমুন নবী বলেন, ‘রিয়াজউদ্দিন বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহতরা হলেন জান্নাতুল আক্তার হাজেরা (৯) ও মেরিনা পারভীন (৩৫)। তাদেরকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ১৫০০০ টাকা করে চিকিৎসা সহায়তা এবং নিহতদের পরিবারকে ২৫০০০ টাকা করে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

এদিকে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১টা ৩৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর আসে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে। খবর পেয়ে আগ্রাবাদ, নন্দনকানন, চন্দনপুরা ও লামারবাজার ফায়ার স্টেশনের আটটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে প্রথমে একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তিনজন মারা যান। আগুনের ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

রাজ্জাক আরো বলেন, চারতলা একটি মার্কেটের দ্বিতীয় তলার এক দোকানে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। রিজওয়ান কমপ্লেক্স ও মোহাম্মদিয়া প্লাজা নামের দুটি ভবন পাশাপাশি হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি দুটি মার্কেট। তাই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক নুরুল আলম জানান, রিয়াজউদ্দিন বাজারে অগ্নিকাণ্ডের সময় পাঁচতলা ভবনের একটি বাসা থেকে হতাহত ব্যক্তিরা বের হতে পারেননি। ধোঁয়ায় তারা অচেতন হয়ে পড়েন। হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসকরা তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। দুই নারী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

এদিকে মার্কেট সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক বলেন, রাত দেড়টায় আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। ফায়ার সার্ভিসও সঙ্গে সঙ্গে এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। মার্কেটের ওপরে ব্যাচেলর বাসা আছে। সেখানে মার্কেটের বিভিন্ন দোকানের কর্মীরা থাকতেন। আগুন লাগার পর অনেকেই নামতে পারেনি। আগুনের ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে দুইটি মোহাম্মদিয়া প্লাজা ও রেজওয়ান কমপ্লেক্স। মোহাম্মদিয়া প্লাজার ব্রাদার্স টেলিকম থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।এখানকার রাস্তা গুলো খুব সরু। ১১০টি মার্কেট আছে বলে জানান তিনি।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.