টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরীর বেশিরভাগ এলাকা পানির নীচে

২৯

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে চট্টগ্রামে গভীররাত থেকে তুমুলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে নগরীর নিম্নাঞ্চল এলাকাগুলো অনেকটা পানির নীচে তলিয়ে গেছে। কোথাও কোমর পানি, কোথাও হাটু পানি। নগরীর বিভিন্ন স্থানে তৈরি হয়েছে জলজট। কর্মব্যস্ত দিনের শুরুতে এমন বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছে পথচারী ও কর্মজীবী মানুষ।

দিকে সোমবার ( ২৭ মে ) সকালে সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, নগরীর ইপিজেড, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর,  চকবাজার, বাকলিয়া, কাপাসগোলা, পাঁচলাইশসহ নগরীর বেশিরভাগ এলাকা পানির নীচে তলিয়ে গেছে। জলাবদ্ধতার কারণে চকবাজরের কাঁচা বাজার বসতে পারেনি। এই এলাকার দোকানগুলোতে পানি ঢুকে মালামাল নষ্ট হয়েছে। নগরের উপকূলীয় এলাকা পতেঙ্গার আকমল আলী রোড সংলগ্ন জেলেপাড়াও তলিয়ে গেছে জোয়ারের পানিতে। এতে দুর্ভোগে পড়ে সেখানকার ৩ শতাধিক পরিবার।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মো. মহসিন চট্টগ্রাম২৪ নিউজকে বলেন, রোববার (২৬ মে )  দুপুর ১২টা থেকে সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ২৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সোমবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত ১৬৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ভারি বর্ষণের কারণে চট্টগ্রামে পাহাড়ধস হতে পারে

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে চট্টগ্রামের ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। অতি ভারি বর্ষণের কারণে চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও পাহাড়ধস হতে পারে।’আগামী দুদিন টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.