চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পাওয়ায় কারণে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক ও কক্সবাজার বিমানবন্দরে সব ধরনের ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ করেছে বিমানবন্দর কর্র্তপক্ষ। যা বেলা ১২টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত চলমান থাকবে।
রোববার (২৬ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামে বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ।
তিনি জানান, রোববার দুপুর ১২ টার আগে পর্যন্ত সব ফ্লাইট স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা করা হয়েছে। কোনো ফ্লাইট বাতিল হয়নি। তবে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পাওয়ায় দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিমানবন্দরে সব ধরনের ফ্লাইট ওঠা-নামা বন্ধ থাকবে।
অপরদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে রোববার কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে সব ধরনের উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। রোববার সকালে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ায় ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়ার ১০ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এরআগে রোববার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় রেমাল আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে এগিয়ে ঘনীভূত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬৪ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের কাছের এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ২৬ মে ২০২৪ সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত নাগাদ মোংলার নিকট দিয়ে সাগর আইল্যান্ড (পশ্চিমবঙ্গ)- খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.