দুবাইয়ের আল হামরিয়াহ বন্দরে এমভি আবদুল্লাহ
সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আল হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছেছে। গতকাল রবিবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা ৩ মিনিটে আল হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছায় জাহাজটি।
এমভি আবদুল্লাহ বন্দরে বহিঃনোঙ্গরে পৌঁছানোর কথা জানিয়েছেন জাহাজ কোম্পানির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএমের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম। তিনি বলেন, ‘জাহাজটি বন্দরের বহিঃনোঙরে অবস্থান করছে। রাতেই জেটিতে বার্থিং করতে পারে।’
আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুজন নাবিক বিমানযোগে বাংলাদেশে ফিরবেন। এ ছাড়া বাকি ২১ নাবিক জাহাজেই ফিরবেন। তবে সেখানে মালিকপক্ষের টিম গিয়ে নাবিকদের সঙ্গে কথা বলবে। এরপর নাবিকরা চাইলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনও হতে পারে।
মেহেরুল করিম বলেন, ‘আগে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের যে জাহাজ দুটি আমাদের পাহারা দিয়ে নিয়ে এসেছিল তারাই গতি নির্ধারণ করে দিয়েছিল। সোমালিয়ান এলাকা পার হওয়ার পর গতি বাড়িয়ে স্বাভাবিক গতিতে চলার জন্য নির্দেশনা দিলে জাহাজটি ১২ নটিক্যাল মাইল গতিতে চালানো হয়। আর তাই একদিন আগেই দুবাই বন্দরে পৌঁছিয়েছে এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজে থাকা ৫৫ হাজার টন খালাসের পর জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।’
জাহাজটি চট্টগ্রামে কবে পৌঁছাতে পারে। এমন প্রশ্নের জবাবে মেহেরুল করিম বলেন, ‘দুবাইয়ে মালামাল খালাস করে ১০ থেকে ১২ মে এর মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ।’
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ দুপুরে এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। জাহাজের মালিকপক্ষের তৎপরতায় পরে সমঝোতা হয় জলদস্যুদের সঙ্গে।
এক মাসের বেশি সময় পর ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। এর আগে একই দিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেয়। একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ৩ ব্যাগ ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ফেলা হয়। স্পিড বোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগ ৩টি কুড়িয়ে নেয়। দস্যুমুক্ত হয়ে রাতেই সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ।
৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.