ট্রমা সেন্টারের সুবিধাসহ ১০০ শয্যায় উন্নীত হচ্ছে সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের ঘোষণা
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণ ও দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের জন্য ট্রমা সেন্টারের প্রয়োজনীয় সুবিধা নিশ্চিতের ঘোষণা দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
শুক্রবার দুই দিনের সফরে চট্টগ্রামে এসেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। সকালে বিমানযোগে চট্টগ্রাম পৌঁছে প্রথমেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন।
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ও সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, তাহলে গ্রাম পর্যায়ের মানুষ উন্নত চিকিৎসা সেবা পাবে।
এ সময় মন্ত্রী ৫০ শয্যার সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ১০০ শয্যায় উন্নীত এবং জনবল সংকট কাটিয়ে ট্রমা সেন্টারের সব সুবিধা নিশ্চিত করারও ঘোষণা দেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, অপারেশন থিয়েটার, জিন এক্সপার্ট ও রোগীর ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন। নিজের ডায়াবেটিস পরীক্ষা শেষে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের সাথে কথা বলেন এবং সন্তোষ প্রকাশ করেন। পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন সামন্ত লাল সেন।
এ সময় তিনি বলেন, সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মহাসড়কের পাশে অবস্থিত হাওয়ায় এখানে প্রায় সময়ই দুর্ঘটনায় আহত রোগী আসেন। এ কারণে এখানে ট্রমা সেন্টারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আলাদা করে ট্রমা সেন্টার স্থাপন সময় সাপেক্ষ এবং ব্যয় সাপেক্ষ। তাই আলাদা ভবন না করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটারকে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি দিয়ে উন্নত করা হবে। যাতে দুর্ঘটনায় আহত যে কোন ধরনের রোগীকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যায়। এছাড়া সংসদ সদস্যের দাবির প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে এই হাসপাতালকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য এস এম আল মামুন ছাড়াও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো: জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মুহাম্মদ খুরশীদ আলম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মহিউদ্দিন, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম রফিকুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.