প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে সন্দ্বীপের সাংসদ মিতার মতবিনিময়

১৮১

সন্দ্বীপের সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতা বলেছেন, আমার পিতা দ্বীপবন্ধু মোস্তাফিজুর রহমান চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব কে অত্যন্ত ভালবাসতেন। তিনি জীবদ্দশায় নিজের ব্যবসার অর্থ ব্যয় করে সাপ্তাহিক রূপালি পত্রিকা প্রকাশ করেন। তিনি আজীবন অবহেলিত সন্দীপের উন্নয়নে কাজ করেছেন।

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতা এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে সভায় মাহফুজুর রহমান মিতা বলেন, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী আমাকে সন্দ্বীপ আসনে মনোনয়ন দেয়ার পর এই অবহেলিত দ্বীপকে উন্নয়নের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। আমাকে অনেক আগেই চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য হওয়ার প্রয়োজন ছিল। আজকে আমার পিতার উত্তরসূরী হিসেবে এই ক্লাবের সদস্যপদ গ্রহন করে নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে। আমি এই ক্লাবের উন্নয়নে সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। আমি ক্লাব প্রাঙ্গনে আসার সাথে সাথে সভাপতি জনাব আলী আব্বাসের পুত্রতুল্য স্নেহে আমি অভিভূত, যা সারাজীবন মনে থাকবে।

প্রেসক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস বলেন, তৎকালীন সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবেকে অত্যন্ত ভালবাসতেন। তিনি ৮৫ সালে আমাকে খেলোয়াড় হিসাবে পুরস্কৃত করেছেন। তিনি এই ক্লাবের সদস্যদের কল্যাণে অনেক কাজ করেছেন।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসাবে স্বাধীনতার পক্ষের প্রেসক্লাবের আজীবন দাতা সদস্য হওয়ায় তিনি মাহাফুজুর রহমান মিতাকে অভিনন্দন জানিয়ে ক্লাবের সকল উন্নয়ন কাজে সহযোগিতার আহবান জানান।
তিনি আরো বলেন, দেশের মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের অন্যতম শক্তি হিসেবে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বেশ সুনাম রয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়কাল থেকে চট্টগ্রামের সাংবাদিকরা জাতি গঠনের কাজে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আসছে। আগামীতে যারা এই ক্লাবের নেতৃত্বে আসবেন তারা তা অব্যাহত রাখবেন।

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ। বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা ।

অনুষ্ঠানে আজীবন দাতা সদস্য হিসেবে সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতাকে প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা এবং সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

এ সময় প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি স ম ইব্রাহীম, অর্থ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, গ্রন্থাগার সম্পাদক মিন্টু চৌধুরী, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক মো. আইয়ুব আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলীউর রহমান, কার্যকরী সদস্য শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, দেবদুলাল ভৌমিক, মনজুর কাদের মনজু, ক্লাবের প্রবীণ সদস্য জেড এম এনায়েত উল্লাহ, জামালুদ্দীন ইউছুফ, রনজিত কুমার দে, সাইফুদ্দিন মো. খালেদ, সিরাজুল করিম মানিক, রোকসারুল ইসলাম, এজেডএম হায়দার, আসিফ সিরাজ, বিশ্বজিৎ বড়ুয়া, মাখন লাল সরকার, কাজী আবুল মনসুর, নুরউদ্দিন আহমদ, রতন কান্তি দেবাশীষ, মো. শহীদুল ইসলাম, সান্টু কুমার দাশ, বিপুল বড়ুয়া, অমিত বড়ুয়া, কামাল উদ্দিন খোকন, আলমগীর সবুজ, মোহাম্মদ ফারুক, কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, মুজাহিদুল ইসলাম, খোরশেদুল আলম শামীম, মান্নান মেহেদী, নিপুল কুমার দে, কুতুব উদ্দিনসহ বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক এবং অনলাইন মিডিয়ার বিপুল সংখ্যক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.