জেলা প্রশাসক মমিনুরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র সফল হয়নি

প্রেস ক্লাবে উপজেলা চেয়ারম্যানদের সংবাদ সম্মেলন

১৪৪

চট্টগ্রামের দক্ষ ও যোগ্য জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে উন্নয়ন বিরোধী স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্র সফল হয়নি, তিনি আরও অনেকদুর এগিয়ে যাবেন বলে মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি ও রাউজান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল। তিনি বলেন, চট্টগ্রামবাসীর চেষ্টায় ডিসি’র বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারী স্বার্থান্বেষী মহল ও চিহ্নিত ভূমিদস্যুদের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া হবে। তাদের ষড়যন্ত্র সফল হয়নি।

বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক মিলনায়তনে উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশন জেলা ও বিভাগ চট্টগ্রাম কর্তৃক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসককে সৎ, সাহসী ও দক্ষ উল্লেখ করে বলেন, চট্টগ্রামে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড বাধাগ্রস্ত করতে একটি চিহ্নিত মহল ও ভূমিদস্যুর দল ডিসি’র বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা ছড়াচ্ছে। চট্টগ্রামবাসীর স্বার্থে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের নানা সাহসী পদক্ষেপের কারণে সংঘবদ্ধ একটি প্রভাবশালী ও বিভিন্ন অবৈধ কাজের সাথে জড়িত চক্র তাঁর প্রতি রুষ্ট।

সম্প্রতি জঙ্গল সলিমপুরে ৩ হাজার ১’শ একর সরকারী খাসজমি উদ্ধারে তাঁর ভূমিকা দৃশ্যমান। গত ১৫ সেপ্টেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিলের পর মূলত মুসলিম ধর্মীয় বিধান মেনে মোনাজাতে শামিল হয়েছিলেন জেলা প্রশাসক ও তৎকালীন রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। মোনাজাত পরিচালনাকারীর বক্তব্যের সঙ্গে জেলা প্রশাসক কোনভাবে সম্পৃক্ত নন। ঐদিন মোনাজানে তিনি একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি। প্রকৃতপক্ষে জঙ্গল সলিমপুর ও জঙ্গল লতিফপুর এলাকায় অবৈধভাবে জমি বিক্রয় করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া একটি সিন্ডিকেটের অর্থায়নে এবং একটি পেশাজীবী সংগঠনের পৃষ্ঠপোষকতায় এই ডিসি’র বিরুদ্ধে অপপ্রচার ছালানো হয়েছে। জঙ্গল সলিমপুরের ভূমিদস্যুতার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের অবস্থান, পরীর পাহাড় সুরক্ষা, ভূমি অধিগ্রহণে দালাল চক্রকে শক্ত হাতে দমনে ডিসি’র ভূমিকা-এই তিনটি বিষয় স্বার্থান্বেষী মহল, যারা নিজের স্বার্থ হাসিলে ব্যর্থ হয়েছেন তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই ধরনের নাটক মঞ্চায়নে ব্যস্ত।

রাউজান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল আরও বলেন, দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে চিহ্নিত ভূমিদস্যুদর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান, জনগণের স্বার্থ রক্ষা, রাষ্ট্রের পক্ষে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করায় নিজেদের স্বার্থ হাসিলে ব্যর্থ গোষ্ঠী সৎ ও যোগ্য জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানকে চট্টগ্রাম থেকে সরিয়ে দিতে চায়। তাঁকে চট্টগ্রাম থেকে বদলি করা হলে চট্টগ্রামবাসীর স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাজে চট্টগ্রামবাসী উপকৃত হলেও কুচক্রীমহলের স্বার্থে ব্যাঘাত ঘটেছে। তাই তারা তাঁকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দিতে কিংবা বদলি করার মানসে পরিকল্পনা করে যাচ্ছে। আমরা জনপ্রতিনিধিরা এ ধরনের অপপ্রচার এবং চট্টগ্রামবাসীর স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে কোনপ্রকার হীনস্বার্থ চরিতার্থ করতে দিবো না। তাই প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি দাবি জানাচ্ছি, প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন করে সকল চক্রান্ত রুখে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং শিষ্টের লালনে নজির সৃষ্টি করা জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমানের প্রতি যেন ন্যায় বিচার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী, ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হোসাইন মোঃ আবু তৈয়ব, পটিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. তিমির বরণ চৌধুরী, পটিয়া পৌর মেয়র মোঃ আইয়ুব বাবুল, রাউজান পৌর মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, চট্টগ্রাম জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্যামল পালিত, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরোয়ার কামাল দুলুসহ বিভিন্ন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.