পটিয়ায় মায়ের ঘাতক ছেলে মাইনু অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
পটিয়ায় সন্তানের গুলিতে মা নিহত হওয়ার ঘটনায় ছেলে মাইনুলকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটিও উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) র্যাব-৭- বিষয়টি নিশ্চিত করে।
র্যাব জানায় পটিয়ার সাবেক মেয়র শামসুল আলম মাস্টারের স্ত্রী জেসমিন আক্তার হত্যার ঘটনায় ছেলে মাইনুলকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, এই হত্যা মামলার একমাত্র আসামি মাঈনুদ্দিন সাতকানিয়ার কেরানীহাট থেকে ঢাকা পালিয়ে যাচ্ছে এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার বিকেলে চট্টগ্রামের নতুন ব্রীজ এলাকায় বাস থেকে তাকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেখানো মতে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানাধীন রসুলপুর এলাকার একটি গুদামঘর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী মাঈনুদ্দিন উদ্ধারকৃত অস্ত্রটি দিয়ে তার মাকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করে র্যা বের কাছে।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে পটিয়ায় সন্তান মাইনুলের গুলিতে তার মা জেসমিন আক্তার (৫০) নিহত হন। তাদের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ওই রাতে মাইনুলের বোন শায়লা শারমিন নিপা বাদী হয়ে পটিয়া থানায় ভাই মাইনুলকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহতের আত্মীয়-স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শামসুল আলম মাস্টার মারা যাওয়ার পর সম্পত্তি ও ব্যাংকে জমানো টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। এছাড়া মাইনুল কিছুদিন আগে পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করেন। এ নিয়ে মায়ের সঙ্গে মনোমালিন্য ছিল মাইনুলের।
মঙ্গলবার সকালে মেয়ে নিপাকে নিয়ে ব্যাংকে যান জেসমিন আক্তার। মাইনুলকে না জানিয়ে বোনকে নিয়ে ব্যাংকে যাওয়ার কথা শুনতে পেয়ে দুপুরের দিকে মায়ের সঙ্গে তর্ক শুরু করেন মাইনুল। এর একপর্যায়ে মাকে গুলি করেন তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় জেসমিন আক্তারকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.