অর্থের বিনিময়ে পদ দেওয়া হবে না: যুবলীগ চেয়ারম্যান পরশ

১৯২

কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, ‘সাংগঠনিক পদ কেবল সাংগঠনিক কাজে ব্যবহারের জন্য। সাংগঠনিক পদ-পদবি নিজের ব্যক্তিগত পকেট ভারি করার জন্য নয়। ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করার জন্য নয়। সাংগঠনিক পদ কোনো বাজার থেকে কিনে আনা পণ্য নয়। আমি কথা দিচ্ছি, আমাদের কাছ থেকে পদ পেতে কোনো উপঢৌকন দিতে হবে না। কোনো আর্থিক সহায়তা লাগবে না। অর্থের বিনিময়ে পদ দেওয়া হবে না। অবৈধ উপার্জনের হাতিয়ার হিসেবে যেন যুবলীগকে ব্যবহার করা না হয়। সাংগঠনিক পদ-পদবি চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজির জন্য ব্যবহার করবেন না।’

রোববার (২৯মে) দুপুর ১টায় হাটহাজারী পার্বতীচরণ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথি ও উদ্বোধকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যুবলীগের নেতা কর্মীদের দুইটি প্রধান দায়িত্ব থাকবে। এক, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রাজপথে নামা। তাকে রক্ষা করা। অন্যটি হলো শেখ হাসিনার সমস্ত অর্জনকে রক্ষা ও প্রচার করা।

তিনি যুবলীগের নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের দিনবদলের পরিবর্তনের সাথে দক্ষ ও জনশক্তিকে রূপ লাভ করতে হবে। যেকোনো বিরোধী পক্ষকে রুখতে রাস্তায় নেমে আন্দোলন সংগ্রাম করতে হবে। এখানে পেশী শক্তির চেয়ে দক্ষতা, শিক্ষিত ও বুদ্ধিভিত্তিক যুব সংগঠন দরকার।

তিনি আরও বলেন, যারা কমিটিতে থাকবেন তাদের সম্পাদকীয় মন্ডলীর সঙ্গে কাজ করে যেতে হবে। স্বাস্থ্য সম্পাদক সকল নেতাকর্মীর স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর রাখতে হবে। মহিলা সম্পাদককে তার অর্পিত কাজ করতে হবে। এসব সাংগঠনিক পদ নিজের পকেট ভারীর জন্য নয়। পদ পদবীর রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাস করিনা। অনেক যুবলীগ নেতা রয়েছেন যারা যুবলীগের নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।

দুর্নীতি নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের সমাজ থেকে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ ও দূর করতে হলে যুবলীগকে দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে। দুর্নীতি বাংলাদেশকে শেষ করে দিচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গড়া। তাই আমাদের যুবলীগকে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করে সমাজ গড়তে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে।

সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এছাড়া আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আতাউর রহমান, সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা, দিদারুল আলম ও খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, যুবলীগের চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ ফজলে নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জয়দেব নন্দী, উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আদিত্য নন্দী এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বক্তব্য রাখেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.