আইআইইউসিকে সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করা সময়ের ব্যাপার: শিক্ষা উপমন্ত্রী

শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টিকে দিনদিন আরো উন্নতির দিকে এগিয়ে নিতে হবে।

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) এর শিক্ষার পরিবেশ, অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে এক ঘরোয়া মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সোমবার (২৯ আগস্ট) রাতে আইআইইউসি বোর্ড অব ট্রাস্টিজ (বিওটি) এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি’র চান্দগাঁওস্থ নদভী প্যালেসে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, বিশাল অবকাঠামোসহ নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টি অন্য যেকোন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পৃথক বৈশিষ্ট্য মন্ডিত। নতুন করে সাজানো গেলে আইআইইউসিকে বিশ্বের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করা সময়ের ব্যাপার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে সম্ভব সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

সভায় বোর্ড অব ট্রাস্টিজ (বিওটি) এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আইআইইউসি’র ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফ, প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মছরুরুল মওলা, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ও ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান ড. ইঞ্জিনিয়ার রশিদ আহমদ চৌধুরী, বিওটি সদস্য প্রফেসর ড. কাজী দ্বীন মুহাম্মদ, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির, রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ শফীউর রহমান, ফাইন্যান্স এডভাইজার ইমরান আবু হাসান, ট্রান্সপোর্ট ও সিকিউরিটিজ ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ড. মাহী উদ্দিন, ফাইন্যান্স ডাইরেক্টর আফজাল আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী চক্র বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়ে, ইতিহাস বিকৃতি করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে ভুল বুঝিয়ে বিপথগামী করেছে বছরের পর বছর। আইআইইউসি’র শিক্ষার্থীদের মাঝে বঙ্গবন্ধু এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার লক্ষ্যে মুজিব কর্ণার স্থাপন এবং ‘বঙ্গবন্ধু রিসার্চ সেন্টার ফর ইসলাম এন্ড ইন্টাররিলিজিয়াস ডায়ালগ’ মতো গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার মতো মহৎ উদ্যোগ গ্রহন করায় বর্তমান বোর্ড ট্রাস্টিজের চেয়াম্যানসহ সকল ট্রাস্টি সদস্যদের প্রতি তিনি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি অন্যন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও একই ধরনের পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।