বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর গভীর শোক

“আমরা শোকাহত, মর্মাহত—দেশ হারালো এক মহান রাষ্ট্রনায়ক”

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি জীবনের অধিকাংশ সময় দেশের মানুষের অধিকার, গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও ভোটাধিকারের জন্য নিরলসভাবে সংগ্রাম করে গেছেন। জেল-নির্যাতন ভোগ করেও কখনো আপোষ করেননি। তিনি ছিলেন স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক, ঐক্যের প্রতীক এবং একজন সংগ্রামী, আপোসহীন, প্রজ্ঞাবান ও বিচক্ষণ নেত্রী।

আমীর খসরু বলেন, এই মহীয়সী নারীর মৃত্যুতে জাতি হারালো একজন অভিভাবক এবং দেশ হারালো একজন মহান রাষ্ট্রনায়ককে। আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাসে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তাঁর মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত, মর্মাহত ও ব্যথিত।

তিনি আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন এ দেশের মানুষের প্রাণের নেত্রী। সারা জীবন তিনি দেশ ও জাতির ভাগ্য উন্নয়নে সংগ্রাম করেছেন। শহীদ জিয়ার স্মৃতিবিজড়িত চট্টগ্রামকে তিনি বিশেষভাবে ভালোবাসতেন এবং চট্টগ্রামের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।

শোকবার্তায় তিনি উল্লেখ করেন, বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন এ জাতির মুক্তির প্রতীক। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে তিনি সাহসী ও ঐতিহাসিক নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে দেশের মানুষ এক কাতারে দাঁড়িয়েছে, যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে থাকবে।

তিনি এই শোকের মুহূর্তে মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, দলীয় নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। মহান আল্লাহ তায়ালা যেন তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন—এই দোয়া করেন তিনি।

এছাড়া তিনি দেশের সকল রাজনৈতিক দল ও সর্বস্তরের জনগণকে এই শোকাবহ সময়ে সংযম, ধৈর্য এবং পারস্পরিক সৌহার্দ্য বজায় রাখার

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.