১৭ বছরের নির্বাসন শেষে দেশে ফিরছেন তারেক রহমান, বৃহস্পতিবার ঢাকায় পৌঁছাবেন
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে দেশের পথে রওয়ানা হয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বুধবার লন্ডন সময় সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় হিথ্রু বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন তিনি।
তার সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন।
বিমানবন্দরে তারেক রহমানকে অভ্যর্থনা জানাবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। তার দেশে ফেরা ঘিরে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আবেগ-উচ্ছ্বাস ও উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। প্রবাসে দীর্ঘ সময় কাটানোর পর তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে বিএনপির রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে দেখছেন দলটির নেতারা।
তারেক রহমান দেশে ফিরে প্রথমে তার মা ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। এ সময় পথে পূর্বাচল সংলগ্ন ৩০০ ফিট সড়ক (জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে) এলাকায় আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন।
এ উপলক্ষে পূর্বাচল এলাকা ও আশপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দলীয় স্বেচ্ছাসেবকরাও সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে কাজ করছেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিক অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। মঞ্চ নির্মাণসহ সার্বিক প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। দফায় দফায় দলের শীর্ষ নেতারা অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করে প্রস্তুতির অগ্রগতি দেখছেন।
উল্লেখ্য, বিতর্কিত ‘ওয়ান-ইলেভেন’ সরকারের সময় তারেক রহমান গ্রেপ্তার হন। ২০০৮ সালে কারামুক্ত হয়ে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান তিনি। এরপর দীর্ঘ সময় সেখানেই অবস্থান করলেও এতদিন তার দেশে ফেরা সম্ভব হয়নি।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.