বীর-উত্তম এ কে খন্দকারকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ বিদায়

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী, বীর-উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক মন্ত্রী এ কে খন্দকারকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ বিদায় জানানো হয়েছে। জানাজায় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাগণ ছাড়াও সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানসহ উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা অংশ নেন।

জানাজা শেষে রাষ্ট্রপতির পক্ষে তাঁর সামরিক সচিব মরহুম এ কে খন্দকারের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। এরপর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন একে একে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। মরহুমের প্রতি সম্মান জানাতে বিমানবাহিনীর একটি ফ্লাই পাস্টও অনুষ্ঠিত হয়।

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এ কে খন্দকার গতকাল শনিবার সকালে বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন। তিনি ছিলেন মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিমান বাহিনী প্রধান এবং সাবেক মন্ত্রী।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বগুণের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে তাঁর কৌশলগত সিদ্ধান্ত ও সাংগঠনিক দক্ষতা স্বাধীনতার সংগ্রামকে আরও সুসংহত করে—যা জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.