চট্টগ্রামে লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল: ৩০ বছরের কনসেশন চুক্তি

এপিএম টার্মিনালসের বিনিয়োগে বন্দর খাতে নতুন যুগের সূচনা --- নৌ উপদেষ্টা

ডেনমার্কভিত্তিক এপিএম টার্মিনালসের বিনিয়োগ বাংলাদেশের বন্দর উন্নয়ন ইতিহাসে নতুন মাইলফলক তৈরি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল বাস্তবায়নে এপিএম টার্মিনালস ও স্থানীয় অংশীদার কিউএনএস কনটেইনার সার্ভিসেস লিমিটেডকে Letter of Award প্রদান উপলক্ষে আজ ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
৩০ বছরের কনসেশন চুক্তির আওতায় পুরো প্রকল্পটি বেসরকারি বিনিয়োগে নির্মাণ, অর্থায়ন ও পরিচালিত হবে—যেখানে সরকারের কোনো ঋণের বোঝা থাকবে না। এপিএম টার্মিনালসের এই উদ্যোগ বাংলাদেশের বন্দর খাতে বৈপ্লবিক উন্নয়নের দ্বার উন্মোচন করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তিনি জানান, এটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ইউরোপীয় বৈদেশিক বিনিয়োগ (FDI) এবং অন্যতম বৃহৎ পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (PPP) প্রকল্প। দীর্ঘদিনের অবকাঠামোগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এই টার্মিনাল বড় জাহাজ ভিড়ানোর সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং রপ্তানিকারকদের জন্য নির্ভরযোগ্য সেবা নিশ্চিত করবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
পিপিপি কর্তৃপক্ষ, এপিএম টার্মিনালস এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট বিষয়ক স্টেট সেক্রেটারি লিনা গান্ডলোসে হ্যানসেন ও বিশ্বখ্যাত এ.পি. মোলার-মেয়ার্স্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান রবার্ট মেয়ার্স্ক উগলা উপস্থিত ছিলেন।
ভার্চুয়াল বার্তায় ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লকে রাসমুসেন বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে মেয়ার্স্কের অংশীদারিত্ব দীর্ঘ দিনের, যা উভয় দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করেছে। তিনি জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে আসা-যাওয়া কনটেইনারের প্রায় ৩০ শতাংশ পরিচালনা করে মায়ের্স্ক। লালদিয়া টার্মিনালে এপিএম টার্মিনালসের বিনিয়োগ দুই দেশের আস্থার প্রতীক।
এপিএম টার্মিনালসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কিথ স্বেন্ডসেন বলেন, গ্রিনফিল্ড প্রকল্প হিসেবে লালদিয়া টার্মিনাল স্থানীয় রপ্তানিকারক ও আমদানিকারকদের কার্যক্রমে বড় সহায়তা দেবে এবং দক্ষ কর্মী গড়ে তুলতেও ভূমিকা রাখবে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস. এম. মোনিরুজ্জামান বলেন, চট্টগ্রাম নদী ও ফিডার বন্দর হওয়ায় লজিস্টিক্স খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে সক্ষম অবকাঠামো গড়ে তোলা জরুরি। লালদিয়া টার্মিনাল সেই সক্ষমতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.