বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস-গ্রিন ডিজেল উৎপাদনের উদ্যোগ: মেয়র শাহাদাত
বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করার উদ্যোগ নিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেছেন, “বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস হবে, গ্রিন ডিজেল হবে। আপনারা বর্জ্য বিক্রি করবেন, আমরা টাকা দেব। সেই সময় চলে আসবে। কোনোক্রমে হতাশ হবেন না। এখন যে ৭০ টাকা ডোর টু ডোর বাবদ দিচ্ছেন, সেটি আপনাদের বিনিয়োগ। একপর্যায়ে এটি বিনামূল্যে হবে, পরে উল্টো আপনাদের আয় হবে।”
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) কাজীর দেউড়ির আইসিসি কনভেনশন হলে মেয়র শাহাদাত হোসেনের এক বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র জানান, নগরে প্রতিদিন ৩ হাজার টনের বেশি বর্জ্য তৈরি হয়, যার মধ্যে ২ হাজার ২০০ টন বর্জ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে। “ডোর টু ডোর প্রকল্প চালুর পর এই মাসে ৫০০ টন বেশি বর্জ্য সংগ্রহ করা গেছে,” বলেন তিনি।
তিনি আরও জানান, “দেশে প্রথম চট্টগ্রামেই বায়োগ্যাস উৎপাদন শুরু হবে। বছর-দেড় বছরের মধ্যে ময়লা নেওয়ার জন্য নগরবাসীকে টাকা দেওয়া হবে।”
নগর উন্নয়ন প্রসঙ্গে মেয়র শাহাদাত বলেন, “এই বছর ৫০-৬০টি বড় রাস্তা উপহার দেব। ডিসেম্বরের মধ্যে ১০টি নাগরিক সেবা নিয়ে ‘চট্টগ্রাম অ্যাপস’ চালু করব।”
কমার্শিয়াল হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে তিনি বলেন, “বন্দরের কাছ থেকে ২০০ কোটি টাকার হোল্ডিং ট্যাক্স পাওয়া আমাদের অধিকার। আগের মেয়রদের সময় অনিয়ম হয়েছে, এখন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
কিশোর গ্যাং ও মাদক প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, “কিশোরদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরি করতে হবে। মাদকের কুফল জানাতে আমরা অভিনেতা পলাশের (কাবিলা) সঙ্গে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি।”
তিনি আরও জানান, সাড়ে তিন লাখ পরিবারকে নাগরিক কার্ড দেওয়া হয়েছে এবং কালুরঘাটে বেকারদের জন্য আইসিটি ট্রেনিং সেন্টার ও চর বাকলিয়ায় পর্যটন টাউন গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
বিশেষ অতিথি ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ বলেন, “চট্টগ্রাম ও পার্বত্য এলাকা দেশের মানুষের নিশ্বাসের জায়গা। এখানে রমনা পার্কের মতো বড় পার্ক, বোটানিক্যাল গার্ডেন ও অ্যাকুয়ারিয়াম হওয়া দরকার।”
সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, “চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান হয়েছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের লোকজন পানি নিষ্কাশনের পথে দখল করেছিল, যা এখন অপসারণ করা হয়েছে।”
সিডিএ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিম বলেন, “২৪ কোটি লিটার পানি বাইরে পাম্প করতে পারব আমরা। মেয়র শাহাদাতের নেতৃত্বে নতুন চট্টগ্রাম গড়ে উঠছে।”
শেষে মেয়রের এক বছরের কার্যক্রমের তথ্যচিত্র প্রদর্শন, উন্নয়ন প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন এবং প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সিস্টেম উদ্বোধন করা হয়।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.