প্রাণীর সুস্থতা নিশ্চিত না হলে মানুষের স্বাস্থ্যও সুরক্ষিত নয়: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

১৯

চট্টগ্রাম, ১২ কার্তিক (২৮ অক্টোবর):
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ‘ওয়ান হেলথ কনসেপ্ট’ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি। মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রাণী ও পরিবেশের সুস্থতা সমানভাবে নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, “আমরা সবসময় মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবি, কিন্তু প্রাণী ও পরিবেশের সুস্থতা নিশ্চিত না হলে মানুষের স্বাস্থ্যও সুরক্ষিত রাখা সম্ভব নয়। ওয়ান হেলথ নিয়ে আমরা এখনো লড়াই করছি। তাই সমন্বিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।”

সোমবার (২৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু)-এর সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ১৭তম আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন-২০২৫-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে স্থানীয় প্রজাতির গুরুত্ব তুলে ধরে ফরিদা আখতার বলেন, “আমাদের স্থানীয় জাতের গবাদি পশুগুলোর সহনশীলতা অনেক বেশি। বিদেশি জাত এনে উৎপাদন বাড়ানো গেলেও তাতে আমাদের নিজস্ব জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। উন্নয়ন হতে হবে টেকসই, এবং তা হতে হবে স্থানীয় জ্ঞান, সংস্কৃতি ও পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে।”

তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণের প্রশংসা করে উপদেষ্টা আরও বলেন, “তরুণদের জ্ঞান, চিন্তা ও অবদান সত্যিই প্রশংসনীয়। বাংলাদেশের বৈজ্ঞানিক অগ্রযাত্রা ও বৈজ্ঞানিক সম্মেলনগুলোর প্রতি মানুষের ক্রমবর্ধমান আগ্রহ দেশের গবেষণা ও জ্ঞানচর্চার ইতিবাচক দিক নির্দেশ করে।”

তিনি বলেন, “গ্রামাঞ্চলে গরু-ছাগল শুধু অর্থনৈতিক সম্পদ নয়, পরিবারের জীবিকা ও আবেগের অংশ। কোনো পরিবার যদি তাদের গরু বা ছাগল হারায়, সেটি শুধু আর্থিক ক্ষতি নয়, মানসিক আঘাতও বটে। একজন ভেটেরিনারি সার্জনের দায়িত্ব কেবল প্রাণী চিকিৎসা নয়, সেই পরিবারের মনোবল ফিরিয়ে আনা।”

অনুষ্ঠানে সিভাসু’র উপাচার্য ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ওমর ফারুক ইউসুফ। এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.