বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে কোকোর অবদান ছিল অপরিসীম— মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন
আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের দোয়া মাহফিল
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকো অত্যন্ত বিনয়ী, প্রচার বিমূখ ও নিরহংকারী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি একজন সাধারন মানুষের মতো সাদাসিধে জীবন যাপন করতেন। কোকো রাজনীতির সাথে সস্পৃক্ত ছিলেন না। কিন্তু তার প্রতি মানুষের ভালোবাসা দেখেছি তার মৃত্যুর পরে। একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের জানাজা এত বড় হয় তা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল। তিনি সফল ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে কোকোর অবদান ছিল অপরিসীম । আজকে বাংলাদেশে যে আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম আছে, এই স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানের করার জন্য আরাফাত রহমান কোকো কাজ করে গেছেন। বিদেশ থেকে ঘাস এনে প্রত্যেকটা স্টেডিয়ামে লাগিয়েছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের উপদেষ্টা হিসেবে ক্রিকেটের উন্নয়নে তিনি যে কর্মসূচি শুরু করেছিলেন বর্তমানে তার সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
তিনি মঙ্গলবার বাদে মাগরিব নগরীর শাহ আমানত (রঃ) মাজার সংলগ্ন মসজিদে আরাফাত রহমান কোকোর ৫৬ তম জন্মদিন উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর কোকো স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন।
দোয়া মাহফিলে শহীদ জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোসহ মৃত্যু বরণকারী নেতৃবৃন্দের আত্বার মাগফেরাত কামনা করা হয়। মোনাজাতে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের আশু রোগ মুক্তি, দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
পরে মাজার সংলগ্ন এতিম খানায় দুঃস্থ অসহায় ও এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, মঈনউদ্দীন ফখরুদ্দীনের সরকার কর্তৃক অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নিয়ে শারিরিক ও মানসিকভাবে প্রচন্ড নির্যাতন করে তাকে পঙ্গু করে দেয়া হয়। পরে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের মামলার জালে ফরমায়েশি সাজার রায়ে নানাবিধ অত্যাচারে তিনি হ্রদরোগে আক্রান্ত হয়ে ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারী তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মো. কামরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মো. ইসমাইল বালি, মহানগর বিএনপি নেতা নুরুল আকতার, জসিম উদ্দিন মিন্টু, ইদ্রিস আলী, মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, বক্সিরহাট ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি এস এম মফিজউল্লাহ, আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল বশর, কোকো স্মৃতি সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সি. যুগ্ম সম্পাদক আওরঙ্গজেব খান সম্রাট, কোকো স্মৃতি সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি হাসান রুবেল, সাধারণ সম্পাদক এন মোহাম্মদ রিমন, সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহীন হায়াত, সহ সভাপতি মো. আলাউদ্দিন, ইদ্রিস আলম, এনাম উল্লাহ এনাম, সহ সভাপতি রাসেদুল ইসলাম রাসু, যুগ্ম সম্পাদক এস এম ইউছুপ, শাহাদাত খান নাবিল, মো. সাইফুদ্দিন, মামুন পাটোয়ারী নীরব, মো. মিরাজ, মো. দিদার, রমজান তালুকদার, আনিসুল ইসলাম, মো. শখি, সহ সাধারণ সম্পাদক মো. রিদুয়ান, শাওনেওয়াজ শাওন, কাজী ইমাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এম জে এইচ মিজান, মো. ইয়াসিন, মো. আলমগীর প্রমূখ।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.