আমার চোখের সামনে এতগুলো বাচ্চা শেষ হয়ে যাচ্ছে, আমি নিজের কথা চিন্তা করি কিভাবে —- শিক্ষিকা মাহরিন চৌধুরী
স্যালুট এই মমতাময়ী মহান শিক্ষিকাকে
“আমি চাইলে বের হয়ে আসতে পারতাম, নিজের জীবন বাঁচাতে পারতাম, আমার চোখের সামনে এতগুলো বাচ্চা শেষ হয়ে যাচ্ছে, আমি নিজের কথা চিন্তা করি কিভাবে ? “দৌঁড়াও, ভয় পেয়ো না, আমি আছি” শিক্ষিকা মাহরিন চৌধুরী(৪৬) যিনি নিজে দগ্ধ অবস্থায় তার প্রিয় শিক্ষার্থী বাচ্চাদের উদ্দেশ্য করে এই কথাগুলো বলেছিলেন। তিনি আজ এই পৃথিবীতে নেই, তবে তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করে অন্তত ২০ জন অগ্নিদগ্ধ ফুটফুটে বাচ্চাকে উদ্ধার করেছেন, বাঁচতে সাহায্য করেছেন, আজ তাঁর এই আত্মত্যাগ এবং পিতা-মাতার পরে যে “একজন শিক্ষকের স্থান” তা তিনি অক্ষরে অক্ষরে বিশ্ববাসীর সামনে আবারো জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেলেন।
আজ গ্রামের বাড়ীতে জানাপূর্বে শিক্ষিকা মাহরিন চৌধুরি স্বামী বিভিন্ন গনমাধ্যমকে জানান, তাঁর স্ত্রী মৃত্যুর আগে হাসপাতালে আমাকে শুধু এতটুকু বলছিলেন, “আমি চাইলে বের হয়ে আসতে পারতাম, নিজের জীবন বাঁচাতে পারতাম, আমার চোখের সামনে এতগুলো বাচ্চা শেষ হয়ে যাচ্ছে, আমি নিজের কথা চিন্তা করি কিভাবে ? ওরা আমার বাচ্চা, ওদের জীবন রক্ষা করার চেষ্ঠা করেছি”।
আজ দেশের বিভিন্ন মিডিয়ায় শিক্ষিকা মাহরিন চৌধুরী(৪৬) এর আত্মত্যাগ প্রচার করছেন। ’তিনি কেবল একজন শিক্ষিকা নন, ছিলেন মা-মায়ার আসল প্রতিচ্ছবি। জানাজা শেষে শ্রদ্ধেয় এই মহান শিক্ষিকাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করাহয়।
স্যালুট এই মমতাময়ী মহান শিক্ষিকাকে, বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই আপনার প্রতি। মহান আল্লাহ আপনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন, আমিন।
নিহত সকল অবুজ শিশুদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আহত দগ্ধরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক, দয়াময় মহান আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা করছি।
সোমবার বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধ বিমান রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের উপর বিধ্বস্ত হয়। সেসময় উক্ত স্কুলে ক্লাস চলছিল। এই বিমান দুর্ঘটনায় এবং ভয়াবহ আগুনে বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেনেন্ট মো. তৌকির ইসলাম সহ মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩১ জন নিহত ও কমপক্ষে ১৭১ জন আহত হয়েছেন। তম্মধ্যে বার্ণ ইনস্টিটিউটে ভর্তি ৪৪ জন। আইসিইউতে আছে ১২জন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.