সীতাকুণ্ডে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধকে গণধোলাই
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া ৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক বৃদ্ধকে গণধোলাই শেষে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। তার নাম মো. ইউসুফ (৭০)। পরে ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবার বাদী হয়ে করা একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সোমবার (১০ মার্চ) রাতে উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের স্টেশন রোড হাসনাবাদ গ্রামের বদির কলোনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, গতকাল দুপুরের দিকে ওই শিশুকে তাঁর বাড়ির পাশের পুকুরপাড় থেকে নিজের ঘরে নিয়ে যান মো. ইউসুফ। এরপর শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর রাতে বিক্ষুব্ধ জনতা ইউসুফকে ঘর থেকে ধরে এনে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। পরে সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। দিবাগত রাত তিনটার দিকে কিছুটা সুস্থবোধ করলে তাঁকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। শিশুটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভাটিয়ারির এক বাসিন্দা বলেন, ইউসুফ লোকটা খুবই খারাপ। এলাকার ছোট ছেলেরা ওকে অনেক ভয় পায়। লোকজনের অজান্তে একশত টাকার লোভ দেখিয়ে পুকুরপাড় থেকে মেয়েটিকে কোলে করে নিজের বাসার দোতালায় নিয়ে যায়। সেখানে ধর্ষণ করে।
তিনি আরও জানান, পরে বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামের কিছু লোকজন বসে মীমাংসার চেষ্টা করে। এতে শিশুর পরিবারের পক্ষও মেনে নেয়। কিন্তু টাকা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দফারফা করতে গিয়ে বিপত্তি বাধে। রাতে তারাবি নামাজের পর বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়ায় স্থানীয় জনতা অভিযুক্ত বৃদ্ধকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটুনি শুরু করে। পরে ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সোহেল রানা ঘটনাস্থলে গিয়ে বৃদ্ধকে থানায় নিয়ে আসে এবং আহত শিশুটিকে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.